Autobiography

যেভাবে একজন লাস্টবেঞ্চার পড়ে ফেলেছে প্রায় ১০০০+ বই!

কোন টেকনিক ফলো করে আমি পড়ে ফেললাম এতগুলো বই? এটা জানতে হলে আমার সাথে আপনাকে যেতে হবে ফ্ল্যাশব্যাকে। চলুন ঘুরে আসি!

এখন শৈশবেই হাতের থেকে বড় ট্যাবে ডোরেমন আর একটু বড় হলেই সোশ্যাল ইন্টারেক্টিং প্লাটফর্মে Clueless Content-এর Binge Watching চলে। কেন জানি দমবন্ধ মনে হয়, হাহাকার জাগে এই প্রজন্মের জন্য।

আর এদিকে আমাদের শৈশব কেটেছে বই পড়ে! উফফ, কি বোরিং তাই না?

- কিন্তু বিশ্বাস করুন, আসলে ব্যাপারটা একদমই পুরো উল্টো।

ক্লাস ফোর/ফাইভে পড়ি তখন। মামা এসেছেন বাসায়। প্রচুর মজা হচ্ছে, খেলাধুলা হচ্ছে। মামা বললেন, 'তোরে একটা বই কিইন্যা দিমু নে, অইডা পড়লে তুই দুনিয়ার সব কিছু জানবি।' আমার চোখতো একদম ছানাবড়া। বলে কি মামা। এই বই আমার লাগবেই, কোন কথা নাই।

পরবর্তি দুই দিন সবজান্তা হয়ে যাবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাঁর মাথা পুরোপুরি খেয়ে ফেললাম। মামাও তখন ভাবছেন, বলেও কি বিপদে পড়লাম রে বাবা। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি কিনে আনলেন - বিশ্ববিচিত্রা! রাশিয়ার রাজধানী কোনটি? কোন প্রাণি দাঁড়িয়ে ঘুমায়? কোন পশুর ডাক মানুষের হাসির মত? সূর্যদয়ের দেশ কোনটি? এমন হাজারো ফ্যাক্টস (বেশ কিছু ভুল) দিয়ে ভরপুর ১২৬ পৃষ্ঠার ছোট একটা বই। একটু একটু করে পড়ি আর আমার নিজেকে অনেক বিদ্বান মনে হতে থাকে। 

নেশার শুরু বোধহয় সেখান থেকেই! 

প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে উঠলাম হাইস্কু। ১৮৩৬ সালে স্থাপিত দেশের অন্যতম পুরাতন, প্রসিদ্ধ এবং স্বপ্নের সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ক্লাসে গিয়ে যখন বসি তখন আমি একদম লাস্ট বেঞ্চে! যত পরে ভর্তি, সিরিয়াল তত পিছনে। তাই রোল নাম্বার ৬৪। কয়েকদিন পরে একজন সহপাঠী মর্নিং সেকশনে চলে যাওয়ায় রোল হয় ৬৩! 

আমার পাড়াভর্তি সমবয়সী বন্ধুবান্ধব, ছোট-বড় ভাইদের আড্ডাখানা ছিল। পাড়াতো বড় ভাইদের উদ্যোগে ছোট একটা ক্লাব খুলেছিলাম আমরা। নাম ইয়াং বয়েজ ক্লাব। প্রতি সপ্তাহে বয়সভেদে ২ টাকা থেকে ১০ টাকা করে জমা দেওয়া লাগতো ক্লাবের ফান্ডে। সেই জমানো টাকা দিয়ে কেনা হতো প্রতিদিনের ক্রিকেট বল, দাবা বোর্ড, লুডো বোর্ড এই সেই আরো কতো কি!

তবে সব থেকে বেশি কেনা হতো বই। মাস শেষে বড়ভাইরা লাইব্রেরিতে গিয়ে ব্যাগ বোঝাই করে বই আনতেন। আমরা প্রতি সপ্তাহে পালা করে বই পড়তাম। একজনের পড়া শেষ হলেই আরেকজন। নাসিরউদ্দীন হোজ্জার গল্প থেকে শুরু করে তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা, হ্যারি পটার যা পেয়েছি গোগ্রাসে গিলেছি শুধু।

৮ম শ্রেণীতে উঠে আবিষ্কার করলাম আমাদের স্কুলে আসলে একটা লাইব্রেরিও আছে। সেখান থেকে নাকি শুধু ক্লাস, সেকশন আর রোল নাম্বার লিখে বই আনা যায়। এটা জানার পর তখন হাতে আকাশের চাঁদ পেয়ে গেছি যেন। ঐদিনই টিফিন পিরিয়ডে বই এনে পড়ে ফেললাম মহাকাশবিদ্যা। স্যার পাটিগণিতের পাঠ নিতেন আর আমরা কোলের উপর বই রেখে মাথা নিচু করে পড়তাম কিশোর উপন্যাস!

বন্ধুবান্ধবের সাথেও হরহামেশাই আদান-প্রদান হয়েছে বই। শীর্ষেন্দু, শরৎচন্দ্র, সুনীল, এবং নাম ভুলে যাওয়া আরো অনেকে! মহাকাশের মহাত্রাশ বইয়ে লেখা গালি পড়ে প্রচুর মজা পেয়েছি। অবাক হয়ে পড়েছি নয় নয় শূন্য তিন, ক্রুগো নামক সায়েন্স ফিকশন।

বাসার একটা শোকেস বোঝাই করা বই আমার বয়সের তুলনায় অনেক বড় ছিল। তারপরেও বইয়ের পাতা উল্টাতে উল্টাতে পড়ে ফেলেছি অরুন্ধুতির দ্যা গড অফ স্মল থিংকস, সমরেশের এত রক্ত কেন, মার্ক্সবাদ, লেলিনবাদ, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ইত্যাদি।

একটা সময় এলো যখন কারো কাছেই পড়ার কিছু নেই। এমন সময় বন্ধুকে নিয়ে চলে যেতাম সিলেটে অবস্থিত একটা বইয়ের মার্কেটে। নাম রাজা ম্যানশন। ইতি-উতি খুঁজে দোকানেই পছন্দসই একটা বই নিয়ে পড়া শুরু করে দিতাম। দোকানদার ঝামেলা করলে ঐ বই আরেক দোকানে খুঁজে বের করে সেখানেই দাঁড়িয়ে বাকি অংশ পড়ে শেষ করতে চাইতাম! বই কেনার টাকা তো নাই।

তবে এভাবে বেশিদিন চালানো গেল না কারণ চালাক দোকানদাররা ততদিনে বুঝে গেছে যে এরা বই পড়তেই আসে, কিনতে না। 

কি মুশকিল, এখন বই পাবো কোথায়? 

আমার চরম পছন্দের একটা উক্তি আছে পাওলো কোয়েলহোর লেখা দ্যা আলকেমিস্ট বইয়ে, ''When you want something, all the universe conspires in helping you to achieve it''. ডায়লগটা পরিচিত লাগছে? হ্যাঁ, শাহরুখ খান সাহেবের মুভির স্ক্রিপ্ট রাইটার এটা স্বযত্নে মেরে দিয়েছেন।

তো সেভাবেই কয়েকদিন পর বন্ধুর উদ্যোগে খোঁজ পেয়ে গেলাম শিশু কিশোর মেলা নামক আশ্চর্য এক সংগঠনের। সেখানে নামমাত্র মূল্যে বই পাওয়া যেত ভাড়ায়। বাসায় এনে পড়ে আবার ফেরত দিতে হত। এটা যেন সোনার হরিণ গোয়ালে পালার মতো অবস্থা। একের পর এক বই পড়ে শেষ করছি তখন। হুমায়ূন আহমেদ একদম ভাজা ভাজা করে ফেলেছি আমরা। বাদ যায় নি জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন।

বন্ধুদের জন্মদিনে ঘটা করে বই উপহার দিয়ে তার হাত থেকে তখনই বই ফেরত নিয়ে যেতাম পড়ার জন্য। এ কেমন ব্যবহার?

যখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অতি আকাঙ্ক্ষিত গাড়িটির খোঁজ কেন পাই না এই ভেবে আফসোস লাগা শুরু হয়েছিল,  তখনই আবার খোঁজ পেলাম বইয়ের এক গভীর সমুদ্রের। আজিয়াটা গ্রুপের একটেল নামের টেলিকম কোম্পানি তখন নাম বদলে রবি। প্রচুর প্রমোশন চলছে দেশজুড়ে। ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দিতে তারা স্পনসর করলো সিলেটের বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার। 

আর এভাবেই আমরা জেনে গেলাম এই স্বর্গের ঠিকানা আমাদের বাসা থেকে একদম পায়ে হাঁটা দূরত্বে! ফ্রি ২জি ইন্টারনেটের লোভে চলে যেতাম গণগ্রন্থাগারে। ২০ মিনিটের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হলেই ডুব দিতাম বইয়ের রাজ্যে। কি অসাধারণ ছিল সে সময়! আব্দুল্লাহ আবু সাইদ, আহমেদ ছফা, হুমায়ুন আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, মানিক বন্দোপাধ্যায়, আরো কত জনের সাথে পরিচয়। একসাথে কাটানো কত শত মুহূর্ত।

আরেকটু বড় হলেই জানাশোনা হলো ড্যান ব্রাউন, মারিও পুজো, স্টেফান কিং, আর্থার কোনান ডয়েল এবং এমন আরো মন্ত্রমুগ্ধকরা জাদুকরদের সাথে।

আমরা বইয়ের পিডিএফ/ইপাব সম্পর্কে জানার পর আমাদের খুশি দেখে কে? মোবাইলেই পড়া যাবে বই? কি আশ্চর্য! অনেক খুঁজে যোগার করে ফেলি একটা পিডিএফ। বইয়ের নাম ছিল বেজি। নোকিয়া এক্সপ্রেস মিউজিক ফোনের মাত্র দুই ইঞ্চি স্ক্রিনের মধ্যে স্ক্রল করে করে পুরো বই শেষ করার আনন্দ বা ঝামেলা কোনটার স্বাদই এই প্রজন্ম পাবে না। 

পিডিএফ কালচার এখনকার বই পড়ার পুরো ব্যাপারটাকেই আরো সহজ করে দিয়েছে। এখনতো বই পড়তে গেলেও ডিস্ট্রাকশন প্রচুর। তাই বেশিরভাগ সময়ই কানে হেডফোন গুঁজে ক্লিন মিউজিক শুনতে শুনতে পড়তে ভালো লাগে।

- এখন একটা সত্যি কথা বলবো?

১০০০+ বই পড়েছি কিনা আদৌ জানি না। তাই, ক্লিক-বেইট টাইটেল বলতে পারেন। তবে সংখ্যাটা কম হবে না নিশ্চিত।

ছোটবেলা থেকেই কোন ডায়েরি বা টালিখাতায় টুকে রাখলেও হয়তো হতো। যদিও এখন একটা এক্সেল ফাইলে লিখে রাখি কি পড়লাম, কি শিখলাম এসব হাবিজাবি। ১৮৬+ বইয়ের এমন 'হাবিজাবি' লেখা আছে সেখানে। তবুও বড্ড দেরি হয়ে গেছে।

- আরেকটা সত্যি কথা হচ্ছে ইদানিং বই পড়াটাই একটা বিলাসিতার মতো মনে হয়। কর্পোরেটের অদ্ভুত দুনিয়ায় বইয়ের গন্ধ একদমই অচেনা লাগে। সোশ্যাল মিডিয়ার নীল পাতা আর ভিডিও কন্টেন্ট-এর বর্ণিল জগত আমাকে বই থেকে দূরে নিয়ে গেছে অনেক। লিখালিখির সুবাদে কোন বই হাতে নিলেও শেষ করা হয়ে উঠে না। যেমন মারিও পুজোর গড ফাদারের লাস্ট চাপ্টারে পরে আছি আজ কতদিন ধরে মনে নেই। 

মাঝেমধ্যে আবার সেই পুরোনো নেশায় সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সাগরে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। কাছাকাছি নীলজল, ব্যাটারি ডেড মুঠোফোন, হালকা সাউন্ডে একটা স্টেরিও স্পিকারে গান, ছোট্ট একটা টি টেবিলে চা, আর হাতে একটা বই।

আহা!

কি? এখনও ভাবছেন বোরিং?

তাহলে ভাগেন।

যান ফেইসবুক স্ক্রল করেন, আমিও মিম দেখি।

#whoisrajonroy

an unfinished adventure

ধরুন, কাঞ্চনজঙ্ঘায় উঠবেন। সুন্দর আবহাওয়া, মন্দমধুর বাতাস, দিগন্তে কুসুম-সদৃশ নিরীহ সূর্য। বৈরীতা বিহীন, নিষ্কণ্টক পথ৷ কিছুই না, শুধু আঁকাবাঁকা পাথুরে রাস্তায় উলম্বে এগোবেন। আর কোন প্যারা নাই৷

আসুন তাহলে একটু অংক করে এগোতে থাকি। বিষাদগার করার আগেই বলে রাখি আমিও অংকে 'Noob'।

ধরি, এই সমস্ত পথ হচ্ছে  'X'। তাহলে, এই X পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করতে হলে আগে তার অর্ধেক পরিমাণ পথ যেতে হবে। তাই না?  অর্থাৎ X/2 অংশ।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই পরিমাণ রাস্তা অতিক্রম করতেও তার আগে এর অর্ধেক অংশ অতিক্রম করতে হবে। মানে X/4।

সহজ ভাষায় চারভাগের একভাগ পথ৷ আবার এইটুকু পথকে আবার বিভাজিত করলে হবে আট ভাগের এক ভাগ। মানে X/8।

আবার, X/8 অংশ পথ যেতে হলে তারও অর্ধেক পথ আগে অতিক্রম করতে হবে। মানে, ষোল ভাগের এক ভাগ বা X/16 অংশ দূরত্ব।

বুঝতে পারছেন?

মানে যতটুকুই দূরত্ব আপনি অতিক্রম করতে চান তার আগে তার অর্ধেক আপনাকে যেতে হবে। পঞ্চগড় থেকে চট্টগ্রাম যেতে হলে আগে ঢাকায় যেতে হবে। আবার পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় যাবার আগে আপনাকে বগুড়া পৌঁছাতে হবে।

গাণিতিক যুক্তিতে, এই 'অর্ধেক এর অর্ধেক' রাস্তার পরিমাণ অসীম৷

X, X/2, X/4, X/8, X/16, X/32, X/64........

অর্থাৎ, খুব ছোট একটা রাস্তা অতিক্রম করতেও আপনাকে অসীম সংখ্যাক ছোট ছোট অংশ পার করতে হবে, ইনফিনিট নাম্বারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করতে হবে।

তাই যতই কাজটাকে অর্ধেক করুন, তাতে আরেকটা কাজ বেড়ে যাবে বৈ কমবে না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় বের হবে তখনই, যখন আদতে এই ক্রমান্নয়ে দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ার মান, এবসলুট জিরো হয়। মানে কোন দূরত্বই যেন না থাকে।

লজিক্যালি, এই জিরো পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করতে আপনাকে কোন প্রকার কাজ করা লাগবে না। এবং আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘায় জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে থেকেও আসলে নিজের জায়গা থেকে একচুলও নড়লেন না।

কি অদ্ভুত!

এই চূড়ান্ত অবস্থাটাকে 'Dichotomy paradox' বলে। গ্রীক ফিলোসফার জেনো অফ এলার নয়টি ফিলোসফিক্যাল প্রবলেমের অন্যতম হচ্ছে এই প্যারাডক্স। এটা ফ্যালাসি নয়, লজিক্যাল। কিন্তু, ভীষণ 'এবসার্ড' রেজাল্ট দেয়। কেন দেয় সেটা জেনে কাজ কি?

-----

এখন দুনিয়ার কাহিনী বাদ দিয়ে মূল বিষয় হচ্ছে একটাই।

আমি আসলে এই প্যারাডক্সের লুপেই আমি ঘুরপাক খাচ্ছি। কতদিন, কতযুগ ধরে, জানি না। কাছেই গন্তব্য, কিন্তু হাঁটাই শুরু করিনি। স্থবিরতা মগজে। সিল লকড

ঐ যে, কবি এডগার আলবার্ট বলে গেছেন,

and he learned too late when the night came down,

How close he was to the golden crown? 

#whoisrajonroy

Two little black birds, sitting on a wall

আমি তখন অনেক ছোট। পরিপাটি জামা গায়ে, বড় বড় রিকশার হুড ছোট ছোট আঙুল দিয়ে শক্ত করে ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাই।

খুব ভয় এই বুঝি পড়ে গেলাম। আমাকে আগলে ধরে রাখে ঠাকুমা। স্কুল গেইটের গন্ডি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই ভয় চেপে ধরে গলায়। কাউকেই চিনি না। কি অদ্ভুত জগৎ। আমার বয়সের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, তাও এতগুলো। আজব তো।

আমি তবুও ঠাকুমার আঙুল ছাড়ি না। আমাকে ক্লাসরুমের ভেতরে রেখে বাইরে চলে গেলেই আমি আকাশ কাঁপিয়ে চেঁচাই, বন্যা নামিয়ে ফেলি দপ্তরির বারান্দায়। আমার ভেতরে ভয়, বাসায় যাবো কিভাবে? যদি হারিয়ে যাই?

ঠাকুমাও কান্না থামাতে ক্লাসের বাইরে যেতে পারেন না। আমরা সুর করে পড়ি,

Two little black birds, sitting on a wall....

আর ঠাকুমা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নির্মল স্যার। আমার কান্নায় যারপর নাই বিরক্ত। এমন জ্বালায় ছেলেটা। কি যন্ত্রনা।

আমার অতো কিছুতে রা' নেই। বড় হবারও তাড়া নেই। তবুও "শিশু ওয়ান" থেকে "বড় ওয়ান"-এ চলে গেলাম হুট করে। একে একে দেয়াল ডিঙালাম। বাংলা সিনেমার একটা গানের মতোই শেষে এসে বড় হয়ে গেলাম।

এখন সেই স্কুলের থেকেও ভয়াবহ রকমের অপরিচিত শহরে থাকি। কত রকমের, কত জায়গার মানুষ। এক সাথে বেঁচে থাকি, প্লেট থেকে নিয়ে খাই, দারোয়ানের সাথে ঘুমাই।

কত আপন ভাবি, আবার কত দূরে পড়ে থাকি। "স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার" গানটা শুনলে বুকে ধুকপুক করে উঠে। সেই আঙুল জড়িয়ে বড় বড় রিকশায় চড়া হয় না।

এখন হারিয়ে যাবার ভয় নেই। গুগল ম্যাপ সহজ করে দিয়েছে সব। তবুও ঐ যে, আমার হয়েছে অর্ণব দার দশা; 

গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক,

পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুঁজে মরি..।

#whoisrajonroy 

কর্পোরেট কালচারে খাপ খাওয়াতে খাওয়াতে সময় লেগে যায় অনেক। অফিসের প্রেশার, ঢাকার জ্যাম, লং ওয়ার্কিং আওয়ারস সব কিছু মিলিয়ে অনেকেরই হয়ে যায় বেহাল দশা। 🥱

✌ তাই, দুইটা কথা মনে রাখবেনঃ

অফিস বাসার যত কাছে হবে ততো শান্তি। আর কিছু কোম্পানি কেন যেন তাদের এমপ্লয়িদের যে একটা ফ্যামিলি টাইম আছে এই ব্যাপারটা জানলেও মানতে চায় না। এর জন্য অফিসের টাইমিংটা ফিক্সড থাকা জরুরি। ⏱

তাই, অপশন যদি থাকে তাহলে স্যালারি থেকে বেশি অফিস কালচার আর লোকেশন সম্পর্কে বিবেচনা করে তবেই জয়েন করুন। 👍 

Some stories are meant to be Told...


I AM GOING TO WRITE THOSE!